Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

সিটিজেন চার্টার

বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপস্থাপন করা হলো

০১।   জাতীয় ও ধর্মীয় দিবস পালনঃ মহান বিজয় দিবস, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, শহীদ দিবস, মে দিবস, বাংলা নববর্ষ, হজ্জ্ব ও উমরা , আশুরা , শবে মেরাজ, শবে বরাত, শবে কদর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক অনুষ্ঠান, ঈদে মিলাদুন্নবী কর্মসূচী উদযাপন,  তাফসীর মাহফিল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক জাতীয় শিশু কিশোর সাংস্কৃতিক ও হিফজ প্রতিযোগিতা পরিচালনা, যুব ও মহিলা অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন,  জাতীয় শোক দিবস, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস পালন (শিশু দিবস) ইসলামী সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং সরকার কর্তৃক দেয় যে কোন দায়িত্ব তাৎক্ষনিক ভাবে বাস্তবায়ন অন্যতম।     

                                                                                                                         

০২। মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা  কার্যক্রমঃ এ প্রকল্পটি ফাউন্ডেশনের একটি বৃহৎ প্রকল্প এবং শিক্ষা সম্প্রসারনে এ প্রকল্পটির ব্যাপক জন চাহিদা রয়েছে।  সরকার ১৯৯৩ সালে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়। কার্যক্রমের ব্যাপক সাফল্যের  প্রেক্ষিতে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় অত্র জেলার ৮টি উপজেলায় কার্যক্রম যথারীত চালু রয়েছে্ । অত্র জেলায় ৩৮১টি প্রাক-প্রাথমিক, ১২টি বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র,  ২০৭টি মসজিদে সহজ কুরআন শিক্ষা কেন্দ্র এবং ০৮টি মডেল রিসোর্স সেন্টার কাম উপজেলা সাব অফিস  ও ১৬টি সাধারন রিসোর্স সেন্টার চালু রয়েছে্। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৬০০ জন শিক্ষক, সাধারণ ও মডেল কেয়ারটেকার ২৪ জন কর্মরত রয়েছেন। কার্যক্রম নিবিড় পরিদর্শনের জন্য ০১জন ফিল্ড অফিসার, ০৮জন ফিল্ড সুপারভাইজার  ও ০১জন মাষ্টার ট্রেইনার নিয়োজিত রয়েছেন। 

০৩।  মসজিদ পাঠাগার স্থাপন প্রকল্পঃ মসজিদে নববীর আলোকে বাংলাদেশের মসজিদ সমূহকে গড়ে তোলার লক্ষে এবং মসজিদগুলোকে ইসলামিক জ্ঞান চর্চার ও প্রচারের কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে ১৯৭৯-৮০ অর্থ বছর থেকে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবছর জেলার বিভিন্ন মসজিদে লক্ষ লক্ষ টাকার বই ও আসবাবপত্র বিনা মূল্যে পুস্তক ও আলমিরা সরবরাহ করা হয়ে থাকে। 

০৪।  ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী কার্যক্রমঃ ১৯৭৯ সালে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয়। ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী কেন্দ্রের মাধ্যমে ইমামদেরকে ইসলামিয়াত, গণশিক্ষা, পরিবার কল্যান, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও প্রাথমিক চিকিৎসা, কৃষি ও বনায়ন, পশু-পাখি পালন ও মৎস্য চাষ বিষয়ে ৪৫দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে।

০৫। হজ্জ ব্যবস্থাপনাঃ সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ্জে গমনেচ্ছুকদের জন্য হজ্জ প্যাকেজ ঘোষনার প্রেক্ষিতে অত্র কার্যালয়ের পক্ষ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হাজী সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

০৬। মানব সম্পদ উন্নয়নে ধর্মীয় নেতাদের সম্পৃক্ত করণ প্রকল্পঃ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায়  এবং UNFPA এর অর্থায়নে পরিচালিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রজনন স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ,নিরাপদ মাতৃত্ব, আদর্শ পরিবার গঠন, পরিবার কল্যান,মাদকমুক্ত সমাজ গঠন,পরিবেশ দুষন,যৌতুক ও বাল্য বিবাহ নিরুৎসাহিত করন, স্যানিটেশন, জনসংখ্যার বিস্ফোরন রোধ,নারী অধিকার সংরক্ষন,এইচ, আই,ভি,এইডস, ইভটিজিং ইত্যাদি বিষয়ে বিভিন্ন পেশাজীবি,ধর্মীয়  নেতৃবৃন্দ, কাজী  এবং মহিলাদের তিন-চার দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। 

০৭।  ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যান ট্রাষ্টঃ সরকার বাংলাদেশের সকল মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের কল্যানার্থে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যান ট্রাষ্ট আইন ২০০১ পাস করেছে।

০৮। প্রকাশনা কার্যক্রমঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ইসলামী সাহিত্য ও আল কুরআনুল করীম মা‘আরেফুল কুরান,হাদীস গ্রন্থসহ  অসংখ্য বই প্রকাশ করে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ইসলামের মৌলিক বিষয়াবলী, ইসলামের ইতিহাস, ইসলামী আইন,তাফসির, দর্শন,মনীষীদের জীবনী, ইসলামী অর্থনীতি, নারী অধিকার, দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম, ইসলামী বিশ্বকোষ, ফাতাওয়া ও মাসায়েল শীর্ষক গ্রন্থ এবং বিভিন্ন হাদীসগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত পুস্তক ক্রয়ে কোন টেন্ডার বা দরপত্রের প্রয়োজন হয় না।

০৯। যাকাত বোর্ড কর্মসূচীঃ সরকার দেশের দুঃস্থ ও অসহায়দের কল্যানার্থে ১৯৮২ সালে যাকাত বোর্ড গঠন করেন। যাকাত বোর্ডের আওতায় যাকাত আদায়ের কর্মসূচী পালন করা হয়ে থাকে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত ধর্মমন্ত্রীর সভাপতিত্বে দেশের খ্যাতমান আলেম ওলামাদের সমন্বয়ে যাকাত বোর্ড গঠিত। ইসলামের বিধান অনুযায়ীযাকাতের ৮টি খাতে অর্থ ব্যয় হয়ে থাকে। 

১০।  জেলা চাঁদ দেখা কমিটির সভাঃ চন্দ্র মাসের সঠিক হিসাব নিরুপন এবং ধমীয় দিবস ও সরকারী ছুটিসমূহ সঠিক ভাবে নির্ধারণের জন্য চাঁদ দেখা কমিটির মিটিং গুরুত্বপূর্ণ। জেলা প্রশাসক এ কমিটির সভাপতি।

১১।  ইসলামিক ফাউন্ডেশন লাইব্রেরীঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের উপর গবেষণাসহ সর্বস্তরের জনগনের মধ্যে ইসলামী জ্ঞান বিকাশের সুযোগ  সুবিধা সৃষ্টির লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে লাইব্রেরী কার্যক্রম চালু রয়েছে।

১২।  নিজস্ব ভবন নির্মাণ প্রকল্পঃ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জন্য স্থায়ী অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্প গ্রহন করেছেন।  ইসলামিক ফাউন্ডেশন যশোর অফিসের কার্যক্রম একটি ভাড়া বাড়ীতে পরিচালিত হয়ে আসছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশন যশোর জেলা কার্যালয়ের অনুকুলে অনুগ্রহ পূর্বক ৩০ (ত্রিশ) শতাংশ সরকারী খাসজমি/পরিত্যাক্ত  সরকারী বাড়ী বরাদ্দের নিমিত্ত জেলা প্রশাসকের সহৃয় সহযোগিতা ও আন্তরিক সহানুভূতি কামনা করছি।

১৩। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর আহবানঃ মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন, দিন বদলের সনদ বাস্তাবায়ন এবং ভিশন ২০২১বাস্তবায়নে কার্যালয়ের  পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। 

১৪। মসজিদ জরিপঃ জেলার প্রকৃত মসজিদ কত এর সঠিক পরিসংখ্যান জানা একান্ত আবশ্যক। এরই প্রেক্ষিতে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আহবানে সাড়া দিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সম্পুর্ণ সেচ্ছা শ্রমে কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের তত্বাবধানে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত ফিল্ড সুপারভাইজার, কেয়ারটেকার, শিক্ষক, মসজিদ পাঠাগার লাইব্রেরীয়ান এবং ধর্মীয় নেত্রীবৃন্দের সহযোগিতায় কোনরুপ অর্থ ব্যয় ছাড়া যশোর জেলার মসজিদ জরিপ কার্য সফল ও স্বার্থক ভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। এ জেলায় মসজিদের সংখ্যা ৪৭৪৬টি।

১৫। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস বাদ প্রতিরোধ প্রকল্পঃ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস বাদ দমনে একটি প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে । উক্ত প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি মসজিদে জুমার খুৎবার আগে এলাকাবাসী/মুসল্লিদের সচেতন করার জন্য ইমামদের দায়িত্ব প্রদান করা হয় । ইমামদের এই বিষয়ে প্রশিক্ষন প্রদান করা হয় । উক্ত কাজের প্রতিবেদন প্রতি মাসে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রধান কার্যলয়ে, জেলা প্রশাসক মহোদয় ও গোয়েন্দা সংস্থাকে প্রদান করা হয় ।

      ইসলামিক ফাউন্ডেশন তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে আসছে। কর্মসূচীর সফল বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন বিভাগ দায়িত্বপ্রাপ্ত। এসব কর্মসূচীর মধ্যে রাজস্ব ও উন্নয়ন উভয়বিধ কার্যক্রম রয়েছে। গৃহীত কার্যক্রম সমূহ ১৩টি বিভাগ, ৭টি বিভাগীয় ও ৬৪টি জেলা কার্যালয়, ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী, ৩১টি ইসলামিক মিশন কেন্দ্র ও ৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন  সারা বছরব্যাপী জনকল্যানমুলক ও সেবাধর্মী নানামুখী কর্মকান্ড বাস্তবায়নে ব্যস্ত থাকে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন নানা কার্যক্রম ও কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে ইতোমধ্যেই জনগনের মনে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছে।১৬। অন্যান্য কার্যক্রমঃ যৌতুক ও বাল্য বিবাহ নিরুৎসাহিত করণ, মাদকের কুফল, দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গঠনে সহযোগিতা, স্যানিটেশন, নারী ও শিশু নির্যাতন ও পাচার  প্রতিরোধ, এইচ,আই,ভি,এইডস, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, সন্ত্রাস/জঙ্গীবাদের কুফল বিষয়ে পুস্তিকা ও লিফলেট তৈরী ও বিতরণ, সচেতনতা সুষ্টি, ধুমপানে নিরুৎসায়িত করণ, এন,আই,ডি বাস্তবায়নে সহযোগিতা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, প্রজনন স্বাস্থ্য  এবং নারী অধিকার সংরক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ধর্মীয় নেতার মাধ্যমে জনগনকে অবহিত করা এবং  স্থানীয় প্রশাসন ও সরকার কর্তৃক দেয় দায়িত্ব তাৎক্ষণিকভাবে বাস্তবায়ন ও সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।